পান্থপাদপ ও তার পরিকাঠামো -

(ক) পান্থপাদপ চারটি মূল্যবান সংগ্রহশালা গড়ে তুলবে –

১। শুভেন্দু মাইতির ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকা সাড়ে আট হাজার গ্রামোফেন রেকর্ড (৭৮ ঘুর্ণন গতি), পাঁচটি কলের গান (গানের কল), ছয লক্ষ পিন সহ, শব্দ প্রক্ষেপণ ব্যবস্থার সমস্ত বিবর্তনের রূপ প্রদর্শিত হবে।
২। আমাদের দেশে নাগরিক নাটকের ইতিহাস রচিত ও রক্ষিত হয়েছে । যার বযসকাল আনুমানিক ২০০ বছর। কিন্তু আমাদের লোকনাট্যের ইতিহাস সহস্র বছরের প্রাচীন। এর কোন ইতিহাস সংরক্ষিত হযনি। আমরা পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত অঞ্চলের আঞ্চলিক লোকনাট্যের ইতিহাস সংরক্ষণকেন্দ্র গড়ে তুলব। এই সংগ্রহশালায লোকনাট্যের পালাকারদের নাম, জীবনী সহ নাটকে ব্যবহৃত বিভিন্ন তৈজসপত্রাদি সংরক্ষিত হবে। প্রাচীন পান্ডূলিপিগুলিও সংগৃহীত ও সংরক্ষিত থাকবে।
৩। আদিবাসী জনজীবনে ব্যবহৃত বাদ্যযন্ত্রাদি, শিকারের অস্ত্রাদি ও মহিলাদের ব্যবহৃত প্রাচীন অলংকার, একটি সংগ্রহশালায সযত্নে সংরক্ষিত থাকবে।
৪। পুতুলবাড়ি- এই সংগ্রহশালায পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তের গ্রামীন পুতুল ও মুখোশের একটি সংগ্রহশালা তৈরি হবে

(খ) সমাজের দলিত অংশের মানুষদের স্বনির্ভর হিসেবে গড়ে তোলার বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মিত হবে। পাশাপাশি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে উৎপাদিত শিল্প সামগ্রীর জন্য কক্ষ এবং কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
(গ) কমিউনিটি কিচেনঃ- এই রান্নাঘরে বাঙালির হারিযে যাওযা রান্নার পদগুলি ফিরিযে আনা হবে। এই রান্নাঘরে কেবলমাত্র কাঁসার বাসনপত্র ব্যবহৃত হবে। হারিযে যাওযা রান্নার মধ্যে মোচার ঘন্ট, লাউ চিংড়ি, থোর তরকারি, ডুমুরের তরকারি, বিউলির ডাল, আলু পোস্ত, চালতার চাটনি, জলপাইএর আচার, তেঁতুলের টক, আমঝোল, তেঁতুল মোরলা ইত্যাদি পরিবেশিত হবে এই রান্নাঘরে।
(ঘ) মুক্তমঞ্চ- ১৫০ আসন বিশিষ্ট মুক্তমঞ্চ নির্মিত হবে, যেখানে ্প্রতিদিন বিভিন্ন আঞ্চলিক সঙ্গীত, নৃত্য, চিত্রকলা ইত্যাদি প্রদর্শিত হবে।
(ঙ) ষ্টুডিও – একটি আন্তর্জাতিক মানের শব্দগ্রহণ ও প্রক্ষেপন কেন্দ্র হিসেবে এই ষ্টূডিওটি গড়ে তোলা হবে। এই ষ্টূডিও থেকে একটি শক্তিশালী পোর্টালের মাধ্যমে সারা পৃথিবীর সৃষ্টিশীল বাঙালির শিল্পকর্মগুলির আদান প্রদান করা যাবে।
(চ) ডরমেটরি- বিভিন্ন নাট্যদল, শিক্ষার্থী ও প্রশিক্ষকদের আবাসন হিসেবে গড়ে তোলা হবে একটি ডরমেটরি। একটানা মহড়া দিযে একটি নাটকের পূর্ণাঙ্গরূপ গড়ে তুলতে শিল্পীদের বসবাসের জন্য এই ডরমেটরি ব্যবহার করা যাবে। বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের প্রশিক্ষণ চলাকালে শিক্ষার্থীরা এই ডরমেটরিতে থাকতে পারবেন।
(ছ) অতিথিশালা-এই অতিথিশালায় নাগরিক স্বাচ্ছন্দের সব ব্যবস্থা থাকবে। প্রবাসী বাঙালী ও বিশিষ্ট অতিথিদের বসবাসের জন্য এই অতিথিশালা ব্যবহৃত হবে।